নাবালক অবস্থায় কোন বড় গোনাহ করে ফেলছেন তাহলে মুক্তি পাবার জন্য করণীয় কি ?

 প্রিয় দ্বীনি ভাই ও বোন !

অনেকেরই এমন সমস্যাটি দেখা দেয় যে, ছোট থাকতে নাবালেগ অবস্থায় না বুঝে অনেক অপরাধ করে ফেলে | যেমন কারো বাড়ি থেকে কোন কিছু নিয়ে আসা, না বলে কোন কিছু খেয়ে ফেলা, কারো সাথে কোনো ধরনের অন্যায় করে ফেলা । এমনকি এর চেয়েও বড় ধরনের কোনো অপরাধ করে ফেলে, কেউ না বুঝেই যিনা-ব্যভিচার তথা ছেলে মেয়ে শারীরিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে অথবা সমকামিতা জড়িয়ে পড়ে । এ ধরনের অনেক অপরাধে জড়িয়ে পড়ে ।

প্রিয় ভাই ও বোন !

এজন্য দুশ্চিন্তার কোনো প্রয়োজন নেই, কারণ ইসলামে একজন মানুষ প্রাপ্তবয়স্ক তথা বালেগ হওয়ার আগ পর্যন্ত কোনো অন্যায় অথবা অপরাধ যদি করে ফেলে  সেটি অন্যায় অপরাধ হিসেবে গণ্য হয় না ।ইসলাম একজন মানুষের উপর তখনই তার সকল নিয়ম কানুনকে বাধ্য করে দেয় যখন সে প্রাপ্তবয়স্ক হয়।প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর সে ব্যক্তিকে ইসলামের সকল আদেশ এবং নির্দেশ মানতে হবে এবং সকল নিষেধাজ্ঞাসহ থেকে নিজেকে বিরত রাখতে হবে । কিন্তু এর আগ পর্যন্ত সে যদি কোন অন্যায় অপরাধ করে ফেলে তাহলে এর জন্য শাস্তি ভোগ করবে না , তার আমলনামায় কোন গুনাহ লেখা হবে না ।

তবে প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এটা নিয়ে লজ্জিত হওয়া এবং আল্লাহ তালার কাছে এর জন্য সতর্কতামূলক তাওবা করা ভালো হতে পারে । যার মাধ্যমে আল্লাহতালা রব্বুল আলামীন অত্যন্ত খুশি হন , কেননা যখন কোন বান্দা তাওবা করে আল্লাহর কাছে ফিরে আসে  তখন আল্লাহ তা'আলার এত বেশি খুশি হন যা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয় । এজন্য প্রাপ্তবয়স্ক হওয়ার পর এ ধরনের কাজের জন্য লজ্জিত হওয়া এবং এ ধরনের কাজ থেকে বিরত থাকা অত্যন্ত জরুরী ও কর্তব্য ।


وَإِذَا بَلَغَ الْأَطْفَالُ مِنكُمُ الْحُلُمَ [٢٤:٥٩

তোমাদের সন্তান-সন্ততিরা যখন বায়োঃপ্রাপ্ত হয়। [সূরা আননূর-৫৯]

عَنْ عَائِشَةَ، أَنَّ رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ، قَالَ: ” رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ الصَّغِيرِ حَتَّى يَكْبَرَ، وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ، أَوْ يُفِيقَ “، قَالَ أَبُو بَكْرٍ فِي حَدِيثِهِ: وَعَنِ الْمُبْتَلَى حَتَّى يَبْرَأَ

‘আয়িশাহ্ (রাঃ)  থেকে বর্ণিত। রসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ব্যক্তি থেকে কলম উঠিয়ে রাখা হয়েছেঃ ঘুমন্ত ব্যক্তি যতক্ষণ না সে জাগ্রত হয়, নাবালেগ, যতক্ষণ না সে বালেগ হয় এবং পাগল, যতক্ষণ না সে জ্ঞান ফিরে পায় বা সুস্থ হয়। অধস্তন রাবী আবূ বাকর (রহ.)-এর বর্ণনায় আছেঃ বেহুঁশ ব্যক্তি যতক্ষণ না সে হুঁশ ফিরে পায়। [সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদীস নং-২০৪১]

عَنْ عَائِشَةَ رَضِيَ اللَّهُ عَنْهَا، أَنَّ  رَسُولَ اللَّهِ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ المُبْتَلَى حَتَّى يَبْرَأَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَكْبُرَ “

আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) নিদ্রিত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) অসুস্থ (পাগল) ব্যক্তি, যতক্ষণ না আরোগ্য লাভ করে এবং (৩) অপ্রাপ্ত বয়স্ক বালক, যতক্ষণ না বালেগ হয়। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৩৯৮]

عَنْ عَلِيٍّ عَلَيْهِ السَّلَام، عَنِ النَّبِيِّ صَلَّى اللهُ عَلَيْهِ وَسَلَّمَ قَالَ: ” رُفِعَ الْقَلَمُ عَنْ ثَلَاثَةٍ: عَنِ النَّائِمِ حَتَّى يَسْتَيْقِظَ، وَعَنِ الصَّبِيِّ حَتَّى يَحْتَلِمَ، وَعَنِ الْمَجْنُونِ حَتَّى يَعْقِلَ “

আলী (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেনঃ তিন ধরণের লোকের উপর থেকে কলম উঠিয়ে নেয়া হয়েছেঃ (১) ঘুমন্ত ব্যক্তি, যতক্ষণ না জাগ্রত হয়, (২) নাবালেগ, যতক্ষণ না তার বীর্যপাত হয় এবং (৩) পাগল, যতক্ষণ না জ্ঞানসম্পন্ন হয়। [সুনানে আবু দাউদ, হাদীস নং-৪৪০৩]

بلوغ الغلام بالاحتلام… والجارية بالاحتلام والحيض والحبل، فإن لم يوجد فيهما شيء فحتى يتم لكل منهما خمس عشرة سنة به يفتى (رد المحتار، كتاب الحجر، فصل بلوغ الغلام بالاحتلام-9/225)

وسن البلوغ على المفتى به خمس عشرة سنة فى الجارية والغلام (رد المحتار، كتاب الطهارة، مطلب فى رطوبة الفرج-1/308)

“ولمن بلغ بالسن” وهو خمسة عشر سنة على المفتى به في الغلام والجارية “
وفيه ايضا: ن بلوغ الصبي بالإحتلام والإحبال والإنزال وعن بلوغ الصبية بالإحتلام والحيض والحبل فإنه لا بد من الغسل فيها قوله: “وهو خمس عشرة سنة على المفتي به” (حاشية الطحطاوى على مراقى الفلاح-108)


আপনি আমাদের এই ভিডিওটি থেকে স্পষ্টভাবে এই বিষটি জানতে পারবেন, ইনশাল্লাহ ।





Previous Post Next Post

Ads