শ্বশুর-শাশুড়ির খেদমত করা কি স্ত্রীর দায়িত্ব ?


শশুর-শাশুড়ির খেদমত 


স্ত্রীর জন্য তার স্বামীর পিতা-মাতা তথা শশুর-শাশুড়ির খেদমত করা আবশ্যকীয় কোন কর্তব্য নয় ৷ এজন্যই স্ত্রী যদি শ্বশুর শাশুড়ির খেদমত করতে না চায় তাহলে স্বামী তাকে বাধ্য করতে পারবে না ৷ কারণ খেদমত শুধুমাত্র একজন উত্তম স্ত্রীর গুণ ও বৈশিষ্ট্য এবং সামাজিক বন্ধনকে সুন্দর রাখার জন্য তার নৈতিক দায়িত্ব ৷

তবে প্রত্যেকটি পুত্রবধূর জন্য তার শশুর শাশুড়ির খেদমত করা উচিত ৷ কেননা মনে রাখতে হবে আজকে সে পুত্রবধূ কিন্তু একসময় তার পুত্রবধূ হবে সে নিজে হবে শাশুড়ি ৷ সে চিন্তা করে বৃদ্ধ শ্বশুর-শাশুড়িকে নিজের আপন মা-বাবার মতো মনে করে তাদের খেদমত করা প্রয়োজন ৷ কারণ এর মাধ্যমে আল্লাহ তাআলা তার প্রতি খুশি হবেন এবং দুনিয়া ও আখেরাতে তার সফলতা অর্জন হবে ৷তাছাড়াও একটি প্রবাদ বাক্য রয়েছে:
كما تدين تدان
যেমন কর্ম তেমন ফল ৷
সুতরাং আজকের পুত্রবধূ তার শাশুড়ির সাথে যেমন আচরণ করবে ৷ আগামীর পুত্রবধূও তার শ্বাশুড়ীর সাথে তেমনি আচরণ করবে ৷

কিন্তু শ্বশুর-শাশুড়ির ও একথা মনে রাখতে হবে যে, তাদের খেদমত করা তার পুত্রবধুর উপর আবশ্যক ছিল না তারপরও সে খেদমত করতেছে ৷ এর মাধ্যমে সে তাদের প্রতি ইহসান করতেছে ৷ তাই ছেলের বউকে শুধু পুত্রবধূ মনে না করে নিজের মেয়ে মনে করতে হবে ৷ তার পিছনে লেগে থাকা যাবেনা তার দোষ খোঁজার জন্য ব্যস্ত হওয়া যাবে না ৷ স্বামীর কাছে তাকে খারাপ করার জন্য তার নামে কোন বদনাম করা যাবে না ৷ নিজের মেয়ের মত ভালবাসতে হবে এটি হলো শ্বশুর-শাশুড়ির দায়িত্ব ৷


ليس للرجل أن يستخدم امراته الحرة الخ (الفتاوى التاتارخانية-4/209، رقم-6271

Previous Post Next Post

Ads