পরিবারকে সুন্দর ও শান্তিপূর্ণ করার পিছনে স্বামীর দায়িত্ব সবচেয়ে বেশি। এজন্য স্ত্রীর ছোট ছোট ব্যাপার নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত না হওয়া ৷ স্ত্রীকে নিজের সকল কিছু মাথা পেতে নিতে বাধ্য না করা। কেননা নারীদেরকে সৃষ্টিই করা হয়েছে নাযুক তবিয়ত দিয়ে। অতএব স্ত্রীর ওপর অতিরিক্ত চাপ দেওয়ার চেষ্টা করলে বিপরীত হওয়ার ভয়-ই বেশি।
হাদীসে এসেছে-
তুমি যদি স্ত্রীকে সোজা করতে যাও তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর ভাঙ্গার অর্থ তাকে তালাক প্রদান করা। -সহীহ মুসলিম
অন্যত্র এসেছে,
রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে পাঁজরের হাড্ডি দ্বারা। তুমি যদি তাকে সোজা করতে যাও তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। তাই তার মন রক্ষা করে চল। তাহলেই একসাথে জীবন যাপন করতে পারবে।-সহীহ ইবনে হিববান, হাদীস ৪১৭৮
অন্য হাদীসে - রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, ‘তোমরা স্ত্রীদের সাথে উত্তম আচরণ কর। কেননা তাদেরকে পাঁজরের হাড্ডি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। আর পাঁজরের হাড্ডিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বাঁকা হল উপরেরটি। সুতরাং তুমি যদি তা সোজা করতে যাও তাহলে ভেঙ্গে ফেলবে। আর যদি একেবারে ছেড়ে দাও তাহলে বাঁকাই থেকে যাবে। তাই স্ত্রীদের সাথে উত্তম আচরণ কর।’-সহীহ বুখারী ও মুসলিম
সুতরাং স্বামী নিজেকে সংযত রাখতেই হবে ৷ স্ত্রীর সকল বিষয় ক্ষমারসুন্দর চোখে দেখার চেষ্টা করতে হবে । ছাড় দেওয়া ও মায়া-মমতার মাধ্যমে যতটুকু পারা যায় বৈবাহিক জীবন স্থায়ী করার আপ্রাণ চেষ্টা করতে হবে। মাথা গরম ও রাগ করে দীর্ঘ দাম্পত্য জীবন এক মুহুর্তেই নিঃশেষ করে দেওয়া একেবারেই উচিত নয়।
এই ভিডিওতে সুন্দর ও সাবলীল ভাবে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে ৷ তাই প্রবন্ধ পডুন ও ভিওটি দেখুন এবং বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করুন ৷
Tags:
স্বামী-স্ত্রী